কোন পরিচয় না দিয়েই টুকটাক কন্টেন্ট তৈরি শুরু করেছিলাম ক’দিন আগে। অনেকেই জানতে চান কে আমি। ফিলোসফিকালি এই প্রশ্নের গভীরতা তো অতল। কিন্তু কিছু বায়োগ্রাফিকাল তথ্য শেয়ার করলে বোধহয় কানেক্ট করতে সুবিধা হবে তাই এই অংশের অবতারণা।


আমি ফাহিম আব্দুল্লাহ।


অর্থপূর্ণ একটা জীবন, সাথে সাফল্য আর সুখের সূত্র খুঁজছি বহুদিন ধরে।

অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি, আরো অনেক বাকি, আরো অনেক প্রশ্ন এখনো করতে শিখি নি। তবে যতটুকু যেখানে যা পাথেয় জুটেছে তা আমার মত সেইম স্ট্রাগলে থাকা মানুষগুলোর সাথে শেয়ার করার অভিপ্রায় নিয়েই পাবলিক ডোমেইনে আসার চিন্তা শুরু।


খুব সংক্ষেপে বললে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে পড়েছি। স্নান না করেই স্নাতক। পাশাপাশি এবং পরবর্তীতে এডুকেশন আর অন্টরপ্রেনারশিপ নিয়ে কাজ করেছি ‘অন্যরকম’ গ্রুপে, রকমারি-উদ্ভাসের নামে চেনা বেশি সহজ যাদেরকে। টিচার ট্রেইনিং, হায়ারিং, কন্টেন্ট অ্যান্ড স্ট্রাটেজি ডেভেলপমেন্ট, আর্লি চাইল্ডহুড এডুকেশনের কারিকুলাম ডিজাইন থেকে শুরু করে হরেক রকম কাজ। সব শেষ এডটেক কোম্পানী অন্যরকম এডটেক লিমিটেডের হেড অফ গ্রোথ হিসেবে কাজ করেছি, যেটার আওতায় অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আর উৎকর্ষ নামের ভেঞ্চারগুলো ছিল। একটা বিজনেস ইনকিউবেটরও রান করেছি আমরা কিছু সময়ের জন্য, যেটার ওভার অল প্ল্যানিং আর কো-অর্ডিনেশন এর দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে, উদ্যোক্তা বাছাই, মেন্টর ম্যানেজমেন্ট, কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি আর কি।


বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকোলজিতে এমএসসি করছি আর সেমিপ্রফেশনালি বিজনেস আর লাইফ কোচিং করছি কেবলমাত্র বিভিন্ন কোম্পানির সি লেভেল এক্সিকিউটিভ আর ফাউন্ডারদেরকে। ক্লায়েন্ট লিস্টে আমার নিজের মেন্টর সোহাগ ভাইয়া যেমন আছেন তেমনি উইডেভসের সিইও নিজাম ভাই, হেড অফ মার্কেটিং তন্ময় ভাই, রকমারির সিইও রনি ভাই, কোফাউন্ডার জুবায়ের ভাই, হেড অফ পাবলিক রিলেশন্স সাদী ভাই, উৎকর্ষের সিইও রাতুল ভাইয়া, থিমফিশারের সিইও তিতাস ভাই, প্রোগ্রামিং হিরোর ফাউন্ডার ঝংকার ভাই, সিওও রাকিব ভাই, টেককেয়ারের সাগর ভাই, ইংলিশ থেরাপির সিইও সাইফুল ভাইরা সহ অনেকে আছেন, ছিলেন। এখানে বলে রাখি, কোচিং আর মেন্টরিং কিন্তু আলাদা ব্যাপার, ওনাদের মেন্টর ভেবে ভুল করবেন না। কোচিং মূলত একটা এস্টাবলিশড প্রসেস, ক্ল্যারিটি আর অ্যাকাউন্টেবিলিটির একটা ব্লেন্ড বলা চলে। বিস্তারিত অন্য কোথাও লিখব ইন শা আল্লাহ।

যাহোক, যেমনটা বলছিলাম, অর্থপূর্ণতা, সুখ আর সাফল্য। এই তিনটা চাহিদা পূরণে যা কিছু দরকার, যত আইডিয়া, স্ট্রাটেজি আর টুলস, সব খুঁজে এনে নিজের ভাষায় সবচেয়ে রিলেটেবল ওয়েতে হাজির করাটাই লক্ষ্য এখন। পথচলা শুরু হোক!