আর তেমন অনন্য জীবন গড়তে যত idea, strategy আর tools প্রয়োজন,
চলুন একসাথে খুঁজি আর কাজে লাগাই।
“ফাহিমের সাথে আমার পরিচয়ের গল্পটা বেশ ইন্টারেস্টিং। প্রায় দশ বারো বছর আগের কথা, তখন ফাহিম আমাদের উদ্ভাসের স্টুডেন্ট, ঐ সময় আমি রেগুলার ক্লাস আর না নিলেও মাঝে মাঝে স্টুডেন্টদের আড্ডা টাইপ ক্লাস নিতাম, আইডিয়া শেয়ার করতাম আর ক্লাস শেষে বলতাম যাদের ইচ্ছা আমাকে চিঠি লিখতে পারো, কোন টপিক নাই, যার যা ইচ্ছা। ফাহিম আমাকে একটা চিঠি লেখে, প্রায় ১৫-১৬ পাতার। আমি চিঠি পড়ে অভিভূত হয়ে যাই যে এই বাচ্চা ছেলে এতকিছু কেমনে জানে! এত রকম নলেজ, অনেক রকম ইনসাইট!
চিঠিটায় ও কেন যেন লিখসিল যে আমার সাথে ওর অনেকরকম ইন্টার্যাকশন হবে, একসাথে অনেক কাজ করা হবে। আমি জানি না এই দিব্যদৃষ্টি আল্লাহ ওকে তখন কেমনে দিল কিন্তু পরে সেটাই সত্যি হয়। এত বছর পর এসে আমি আর ফাহিম আমরা প্রায় বন্ধুর মত। আমাদের মধ্যে মাল্টি ডায়মেনশনাল রিলেশন, একে তো ও আমার স্টুডেন্ট ছিল, সেই সাথে আমরা পরস্পরকে খুব ভালো বুঝি, বিভিন্ন রকম জটিল সব ইস্যুতে আমরা একসাথে আড্ডা দিই, কাজ করি, পরামর্শ করি। এই বয়সেই অনেক বড় বড় কাজের সাথে ও ইনভলভড, সামনে আরো অনেক বড় কিছু উম্মাহর খেদমতে করবে বলে বিশ্বাস রাখি।
ওর অনেক কিছু নিয়ে পড়ালেখা, অনেক রকম ইন্টারেস্ট। রিসেন্ট সময়ে ও সাইকোলজি নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে যার অংশ হিসেবে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্সও করে ফেলে আর এই সংক্রান্ত সার্ভিস আর কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে শুরু করে, আমাকে কোচ হিসেবেও সাপোর্ট দেয়া শুরু করে। আমাদের অন্যরকম গ্রুপে শুধু আমাকেই না, আমার কোম্পানির নেতৃস্থানীয় বেশ কয়েকজন সহ আরো অনেককেই আমি ওর কাছে ফরোয়ার্ড করেছি।
এই কোচিং সেশনসগুলোর ইমপ্যাক্ট নিয়ে কিছু বলা দরকার। কোচ আসলে কী করে সেটা অনেকের কাছেই ক্লিয়ার না, কোচরা আসলে মূলত প্রশ্ন করে। এমন প্রশ্ন যার মাধ্যমে চিন্তার দরজা খোলে। চিন্তার যে গভীরতায় আমাদের যাওয়া উচিৎ দৈনন্দিন ব্যস্ততা আমাদেরকে সে সুযোগ দেয় না, কোচদের প্রশ্নের মাধ্যমে সেই ক্ল্যারিটিটা আসে। ফাহিমের সাথে সেশনগুলোর মাধ্যমে আমার পাওয়া হচ্ছে নিজের লাইফ রিলেটেড যে ক্ল্যারিটিগুলো দরকার সেগুলো, তার পাশাপাশি যে একশনগুলো নিব নিচ্ছি করে নেয়া হচ্ছিল না সেগুলো নিতে পারা। আলহামদুলিল্লাহ এই সেশনগুলো একটা সিগনিফিক্যান্ট চেইঞ্জ এনে দিয়েছে ওভারঅল প্রোডাক্টিভিটিতে, ক্ল্যারিটিতে, কী করব কী করব না, প্রায়োরিটি সেটিংয়ে, ওভারঅল মেন্টাল এবং ফিজিক্যাল হেলথে, পার্সোনাল ডেভেলপমেন্টে। পার্সোনাল, প্রফেশনাল সব দিক থেকেই এটা অনেক বেশি ফ্রুটফুল হয়েছে এবং আমি তো একচুয়ালি ওকে অনেক জায়গায় রেফার করসি, তারা সবাইও সিমিলার ফিডব্যাক দিবে বলেই আমার মনে হয়!”
‘Working with Fahim has been nothing short of transformative. As the CEO of weDevs and Kahf, I’ve always navigated high-pressure decisions, complex strategies, and ambitious goals. But it was Fahim who helped me see beyond the numbers — to realign my mindset, redefine success, and reconnect deeply with my purpose.
His coaching didn’t just impact my leadership; it reshaped my life. Fahim’s unique blend of deep Islamic knowledge and practical wisdom helped me grow spiritually and emotionally. He reminded me that true success starts with clarity of the soul and closeness to Allah. Through our sessions, I’ve become a more grounded leader, a more mindful human being, and — most importantly — a servant striving for a greater cause.
If you’re seeking clarity, purpose, and a life driven by values — Fahim is the guide you need. He didn’t just change how I think. He changed how I live.’
“প্রথমবার ফাহিম ভাইয়ের সাথে কথা বলার পর আমার খুব চমৎকার লাগল কারণ একটা অর্গানাইজেশন চালাতে গেলে অনেক রকম জিনিসপত্র ফেইস করতে হয়, নিজের ইমোশন ম্যানেজ করা, অ্যাংজাইটি আর স্ট্রেস ম্যানেজ করা, এসব নিয়ে আমি নিজে কিছু পড়াশোনা করতাম কিন্তু ফাহিম ভাইয়ের সাথে কথা বলে আমার চিন্তাগুলোর কিছু ভ্যালিডেশন পেলাম সাথে প্র্যাক্টিকাল অনেক উদাহরণের মাধ্যমে আরো গভীরভাবে সব বুঝতে শুরু করলাম। এরপর প্রায় এগারো কিংবা বারোটা সেশন হয় আমাদের এবং প্রতিটা সেশনের পর ই আমি খুব-ই খুব-ই চমৎকার একটা অনুভূতি পাইসি সাথে অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পারসি যদিও সব কিছু আমল করতে পারি নাই কিন্তু করতে পারলে খুব ভাল রেজাল্ট আসে।
ইউজুয়ালি কোচিং মেন্টরিং এ যা ঘটে তা হচ্ছে এটা অনেক বেশি থিওরেটিকাল হয়ে যায়, অনেক বেশি প্রসেস ওরিয়েন্টেড হয়ে যায় যে এটা করো সেটা করো। কিন্তু একদম ফোকাসড ওয়েতে আমি যেভাবে ভাবি, আমার কী দরকার তা জেনে পারসোনালাইজড ওয়েতে আমার জন্য উনি একটা প্ল্যান করার চেষ্টা করসেন যেটা খুব চমৎকার একটা বিষয় ছিল। অনেকে আমরা আসলে বুঝিই না আমরা কোন প্রব্লেমের মধ্যে আছি আর তা থেকে বের হবো কীভাবে, ক্রিটিকাল সিচুয়েশন কীভাবে হ্যান্ডেল করব, ইমোশনাল ট্রিগার গুলা কীভাবে ম্যানেজ করব, কারো সাথে কমপ্লেক্স কমিউনিকেশনগুলো কীভাবে করব, কনফ্লিক্ট কীভাবে হ্যান্ডেল করব, পার্সোনাল আর প্রফেশনাল লাইফ দুই জায়গাতেই এই ইস্যুগুলো থাকে এবং এখানে ফাহিম ভাইয়ের এপ্রোচটা কীরকম তা আসলে এই ছোট্ট পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব না কিন্তু এটা সুপার হেল্পফুল। উনি যেভাবে সাইকোলজি এবং প্র্যাক্টিকাল এক্সাম্পল দিয়ে জিনিসগুলো বোঝান সেটা রিয়েলি রিয়েলি এমেইজিং একটা জিনিস।”
“ফাহিম ভাইয়ের প্রচণ্ড ইনোভেটিভ কোয়েশ্চেনগুলো আমার মনের মধ্য থেকে আমার সত্যিকারের চাওয়াগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করেছে। আমার প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য আমি খুঁজে পেয়েছি, বুঝতে পেরেছি আমি ঠিক কী করতে চাই। আমার জীবনের পারপাজ খুঁজে পেয়েছি, আমার প্রফেশনাল এবং পার্সোনাল গ্রোথের জায়গাগুলো নিয়ে আমি এখন অনেকখানি ক্লিয়ার আগের চাইতে।
আমি কীভাবে টার্গেট এচিভ করব, প্ল্যান সেট করব, কোন পদ্ধতিতে আগাবো এগুলো নিয়ে যেমন শিখছি তেমনি এমপ্লয়িদের সাথে কোন স্ট্রাটেজি গুলো কাজ করবে কোনগুলো করবে না এগুলো ওনার সাথে আলোচনার মধ্য দিয়েই আমি সিদ্ধান্ত নিই। আমার অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়তো আমি নিলে ভুল হতে পারতো কিন্তু ফাহিম ভাইয়ের সাথে কথা বলার পর নেয়ার কারণে ঠিকঠাক মত এগুতে পেরেছি।
ফাহিম ভাইয়ের সাথে কথা বললে পড়াশুনার প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ তৈরি হয়। ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং, সেলস, স্ট্রাটেজি, এমপ্লয়ি সাইকোলজি এই বিষয়গুলোতে ওনার এত ডীপ নলেজ যে আলোচনাগুলো থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি এবং এই ব্যাপারগুলো নিয়ে স্ট্রং প্ল্যানিং করতে পেরেছি। হেলথ, মেন্টাল ফিটনেসেও অনেক কাজে এসেছে। আমি যেসব বিষয়ে খুব ইরিটেটেড হতাম সেসব বিষয়ে এখন নিজে রেস্পন্সিবিলিটি নিতে শিখেছি। ভাবতে শিখেছি যে কোম্পানি আমার, রেস্পন্সিবিলিট আমার। এমপ্লয়িদের ভুল হলে আগে অনেক রেগে যেতাম, এখন ভাবতে শিখেছি যে এটা আমার ই রেস্পন্সিবিলিটি।
প্রায় এক বছর ধরে আমি ফাহিম ভাইয়ের সাথে কোচিং কন্টিনিউ করছি, এই প্রসেস শুরুর পর থেকে আমি যে কত ছোট ছোট সিগনিফিক্যান্ট চেইঞ্জ আনতে পেরেছি লাইফে তা অবিশ্বাস্য, লিখতে গিয়ে বুঝতে পারছি এখন। প্রত্যেকটা জিনিস দেখি আর মনে হয় ফাহিম ভাইয়ের ঐদিনের ঐ কোয়েশ্চেনটার জন্য আজকে এই ইম্প্রুভমেন্টটা হয়েছে!!”
“Working with Fahim Bhai has truly been a transformative experience for me. One of my biggest personal challenges was overthinking — once a thought entered my mind, it would stay there, constantly looping without resolution. But after just two sessions with him, Alhamdulillah, I began to understand how thoughts work, how to filter them, and which ones to keep or discard. That shift in my mindset was life-changing.
What sets Fahim Bhai apart is the depth of his knowledge and the wisdom he shares. Whenever I bring up a personal issue, his solutions are never surface-level. Drawing from his vast reading habit, he often shares insights from the Qur’an, the life of our beloved Prophet Muhammad (SAW), the Sahaba, or the great scholars of the past. Sometimes, he even references modern thinkers and successful individuals — always with a deep understanding of context and relevance.
One of the qualities I admire most is that he is not just a motivational speaker. He doesn’t preach ideas that he hasn’t tried himself. Before advising others, he genuinely attempts to implement those practices in his own life. That authenticity makes his guidance trustworthy and deeply impactful.
Whether it’s setting meaningful life goals, establishing a personal routine, or even managing finances — Fahim Bhai provides structured, practical, and spiritually grounded guidance. I have felt more motivated, inspired, and clear in my journey than ever before.”
“ফাহিমের কাছে সেশন নেয়ার আগে আমার এক্সপেকটেশন অন্য ধরনের ছিল, ভেবেছিলাম ফাহিম আমাকে প্রোডাক্টিভ হওয়ার জন্য অনেক অনেক টিপস দিবে, সেগুলো প্রয়োগ করে আমি সুপার প্রোডাক্টিভ হয়ে যাবো। কিন্তু বাস্তবতা সেরকম না।
ফাহিম কাজ শুরু করেছিল “কেন” থেকে। যেটা করতে চাচ্ছি, সেটা আসলে কেন চাচ্ছি। বর্তমান সময়ে নিজের চাওয়া আর আশে পাশের থেকে ইনফ্লুয়েন্সড হওয়া, এ দুটো আলাদা করা অনেক কঠিন। একটা দীর্ঘ সময় নিয়ে আমরা কাজ করেছিলাম “পারপাজ” নিয়েই। এটাই বেশির ভাগ কনফিউশন দূর করে দেয়। কাজ করতে করতে অনেক সময় অনেক ডাউন ফেইজ ফেইস করতে হয়, তখন স্ট্রংলি ডিফাইন্ড পারপাজ রিমাইন্ড করলে ইজিলি কাম ব্যাক করা যায়।
কাজের প্রায়োরিটি করার জায়গাতে অনেক হেল্প পেয়েছি। রকমারির শুরু থেকে কাজ করার কারণে, কোম্পানি বড় হওয়ার সাথে সাথে নিজের রেস্পন্সিবিলিটি শিফট করা নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ ফেইস করছিলাম। এখানে অনেক ইম্প্রুভমেন্ট হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
কীভাবে কী করবো, সেই প্রসেস ডিজাইনেও ফাহিম অনেক হেল্প করেছে। ফাহিম যেটা করেছে, রাইট প্রশ্নটা করেছে, সেখান থেকে উত্তর চলে আসছে। ফাহিমের হেল্প নিয়ে অনেক ভাল হ্যাবিটও ফর্ম করতে পেরেছি, আলাহামদুলিল্লাহ।
রিলিজিয়াস বিলিফের জায়গাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা এলাইন্ড হওয়ার কারণে প্রসেস গুলো আমার জন্য প্রোপার হয়েছে।
ফাহিমের সেশন নেয়ার আগে পরের সাথে যদি তুলনা করি, প্রোডাক্টিভিটি অবশ্যই বেড়েছে, কেন এর জায়গা থেকে শুরু করার কারণে এটা আরও বেশি স্যাটিস্ফ্যাক্টরি। আমার রেস্পন্সিবিলিটি নিয়ে আমি অনেক ক্লিয়ার। কাজের ক্ষেত্রে নিজেকে আরও শান্ত রাখতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ।
ছোট ভাই এবং কোচ হিসাবে ফাহিম আমার খুব পছন্দের একজন মানুষ। দোয়া করি আল্লাহ যেন ওর সকল মনে ইচ্ছা পূরণ করেন।”
“ফাহিম এর সাথে কাজ করার পর থেকে আমার অনেক কিছুতে ক্ল্যারিটি এসেছে, অনেক সংশয় দূর হয়েছে।
আমি খুবই অগোছালো এবং ছন্নছাড়া টাইপের, এখন অন্তত আমি নিজেকে একটু হলেও চিনতে পেরেছি। আমার কাজ আগের থেকে ভাল হচ্ছে, গুছিয়ে করতে পারছি।
ব্যক্তি হিসাবে যেই সীমাবদ্ধতা ছিল সেগুলো এখনো আছে কিন্তু এখন আমি জানি আমার সমস্যা কোথায় এবং কী কী ঠিক করতে হবে।
প্রফেশনাল লাইফে এখনও সিগনিফেকেন্ট কিছু হয় নাই কারণ আমার সীমাবদ্ধতা। আমি এখন অন্তত জানি আমাকে কী কী করতে হবে।
ফাহিম এর সাথে সরাসরি যদিও এখনও দেখা হয় নি কিন্তু কথা বললে মনে হয় ওর কাছে সব শেয়ার করা যায়। আমি খুব রিজার্ভ থাকি এবং ব্যক্তিগত কিছু কখনই কারো কাছে শেয়ার করি নি কোনদিন, ইভেন আমার বউ এর কাছেও না।
আমার মনে হয় এইসব শেয়ার করলে আমি ভালনারেবল হয়ে যাব। ফাহিম একমাত্র ব্যক্তি যার কাছে প্রথম অনেক কিছু শেয়ার করেছি।
আমি যখনই কোন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি ফাহিম এর কথা মনে হয় আর ওর সাথে কথা বলার পরে ক্ল্যারিটি চলে আসে।”
“পরিবর্তনের কিছু ইচ্ছা তো আমার অবশ্যই ছিল কিন্তু মনে হতো আমি যেন কিছু একটা মিস করছি। কিন্তু কী সেটা, তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এই না-পারার ভেতর থেকেই আমার আত্ম-অন্বেষণ শুরু হয়। আর এই যাত্রায় প্রজ্ঞাবান সহযাত্রী ছিলেন ফাহিম আবদুল্লাহ।
তিনি আমার ওপর কিছু চাপিয়ে দেননি, কোনো গন্তব্যও ঠিক করে দেননি। বরং এমন সময়, এমন প্রশ্ন করেছেন — যা আমার ভাবনার গভীরে আলো ফেলেছে। সেসব প্রশ্ন আমাকে নিজের ভেতরে তাকাতে শিখিয়েছে, নিজের সম্ভাবনা, সীমাবদ্ধতা, ইচ্ছা আর উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে।
এই জার্নিটা শুধু কোচিং ছিল না, ছিল এক গভীর আত্ম-অন্বেষণ।”
‘ফাহিমের সাথে কাজ করার আগে আমার কোন আইডিয়া ছিল না বিজনেস কোচিং ব্যাপারটা ঠিক কী। আমার ধারণা ছিল বিজনেস রিলেটেড ব্যাপারগুলোতে ডোমেইন এক্সপার্টাইজ আছে এমন সিনিয়র বা সাকসেসফুল কেউ কনসালটেন্সি দিবে এটাই বোধহয় বিজনেস কোচিং। কিন্তু ফাহিমের সাথে কাজ শুরুর পর আমার ধারণা বদলাতে শুরু করে।
ফাহিম আমার চাইতে জুনিয়র, ও আমার ফিল্ডে বিজনেস করে না সো আমার ডোমেইনে ওর এক্সপার্টাইজ আছে তাও না, কিন্তু তবু ও আমার বিজনেসে সিগনিফিক্যান্ট ইমপ্যাক্ট ক্রিয়েট করসে ফলে বিজনেস কোচিং নিয়ে আমার আইডিয়া টোটালি চেইঞ্জ হয়ে গেসে এবং মনে হইসে এইটা প্রসেসের ভেতর দিয়ে তো সবারই যাওয়া উচিৎ!
খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফাহিম আমার বিজনেসে সিগনিফিক্যান্ট সব হেল্প করসে, এর মধ্যে সবচেয়ে সিগনিফিক্যান্ট চেইঞ্জটা লাইফ লং ইমপ্যাক্ট রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। ব্যাপারটা কেমন বলি। বিফোর ফাহিম আমরা বিজনেসে এমন একটা স্টেইজে পৌঁছে গেছিলাম যে টাকা আর আমাদের জন্য মোটিভেটিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছিল না ফলে গ্রোথে পটেনশিয়াল থাকলে মোটিভেশন ছিল না এনাফ।
ঠিক এই সময়টাতে এসেই ফাহিম ওর ইন ডেপথ কোয়েশ্চেন দিয়ে গাইড করে করে, কোচিং এর প্রসেসের মধ্য দিয়ে নিয়ে গিয়ে আমাকে দিয়েই কাজ করিয়ে, ব্রেইন স্টর্মিং করিয়ে ধীরে ধীরে আমাদের অর্গানাইজেশনের কোর পারপাজের জায়গাটায় ক্ল্যারিটি নিয়ে আসে। কয়েক বছর কেটে গেছে কিন্তু সেই সেশনগুলোর ইমপ্যাক্ট এখনো অনুভব করছি কারণ এরপর থেকে আমরা একটা পারপাজ ড্রিভেন কোম্পানিতে পরিণত হই, কাজের স্পিড, ডিসিশন মেকিং সব কিছুই ডিফরেন্ট হয়ে গেছে। এই পারপাজ খুঁজে পাওয়ার জার্নিতে ফাহিমের কন্ট্রিবিউশন আমার সব সময় মনে থাকবে, কৃতজ্ঞতাও থাকবে।
বিজনেস কোচিং এর বাইরে যদি বলি, ফাহিম ইজ আ গ্রেট গাই, ওর সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিলে বোরড ফিল হয় না, যথেষ্ট পরিমাণ নলেজ রাখে সব ব্যাপারে, এবং ও জানে রাইট প্রশ্নগুলো কীভাবে করতে হয় যেটা খুব ই ইম্পর্ট্যান্ট! ও কখনওই হ্যান্ডহোল্ডিং করবে না, মেথড বলে দিবে না বা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে না, সেটা একজন কোচের কাজ ও না, বরং রাইট কোয়েশ্চেন করে করে গাইড করার যে কাজ সেটা ফাহিম বিউটিফুলি করসে। আমি একচুয়ালি হাইলি রিকমেন্ড করে এটাই বলব যে আপনি যেই ফিল্ডেই থাকুন না কেন, ফাহিমের সাথে এই কোচিং প্রসেস ট্রাই করলে আপনার পার্স্পেক্টিভ চেইঞ্জ হয়ে যেতে বাধ্য!’
“ফাহিমের সাথে আমার পরিচয়ের গল্পটা বেশ ইন্টারেস্টিং। প্রায় দশ বারো বছর আগের কথা, তখন ফাহিম আমাদের উদ্ভাসের স্টুডেন্ট, ঐ সময় আমি রেগুলার ক্লাস আর না নিলেও মাঝে মাঝে স্টুডেন্টদের আড্ডা টাইপ ক্লাস নিতাম, আইডিয়া শেয়ার করতাম আর ক্লাস শেষে বলতাম যাদের ইচ্ছা আমাকে চিঠি লিখতে পারো, কোন টপিক নাই, যার যা ইচ্ছা। ফাহিম আমাকে একটা চিঠি লেখে, প্রায় ১৫-১৬ পাতার। আমি চিঠি পড়ে অভিভূত হয়ে যাই যে এই বাচ্চা ছেলে এতকিছু কেমনে জানে! এত রকম নলেজ, অনেক রকম ইনসাইট!
চিঠিটায় ও কেন যেন লিখসিল যে আমার সাথে ওর অনেকরকম ইন্টার্যাকশন হবে, একসাথে অনেক কাজ করা হবে। আমি জানি না এই দিব্যদৃষ্টি আল্লাহ ওকে তখন কেমনে দিল কিন্তু পরে সেটাই সত্যি হয়। এত বছর পর এসে আমি আর ফাহিম আমরা প্রায় বন্ধুর মত। আমাদের মধ্যে মাল্টি ডায়মেনশনাল রিলেশন, একে তো ও আমার স্টুডেন্ট ছিল, সেই সাথে আমরা পরস্পরকে খুব ভালো বুঝি, বিভিন্ন রকম জটিল সব ইস্যুতে আমরা একসাথে আড্ডা দিই, কাজ করি, পরামর্শ করি। এই বয়সেই অনেক বড় বড় কাজের সাথে ও ইনভলভড, সামনে আরো অনেক বড় কিছু উম্মাহর খেদমতে করবে বলে বিশ্বাস রাখি।
ওর অনেক কিছু নিয়ে পড়ালেখা, অনেক রকম ইন্টারেস্ট। রিসেন্ট সময়ে ও সাইকোলজি নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে যার অংশ হিসেবে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্সও করে ফেলে আর এই সংক্রান্ত সার্ভিস আর কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে শুরু করে, আমাকে কোচ হিসেবেও সাপোর্ট দেয়া শুরু করে। আমাদের অন্যরকম গ্রুপে শুধু আমাকেই না, আমার কোম্পানির নেতৃস্থানীয় বেশ কয়েকজন সহ আরো অনেককেই আমি ওর কাছে ফরোয়ার্ড করেছি।
এই কোচিং সেশনসগুলোর ইমপ্যাক্ট নিয়ে কিছু বলা দরকার। কোচ আসলে কী করে সেটা অনেকের কাছেই ক্লিয়ার না, কোচরা আসলে মূলত প্রশ্ন করে। এমন প্রশ্ন যার মাধ্যমে চিন্তার দরজা খোলে। চিন্তার যে গভীরতায় আমাদের যাওয়া উচিৎ দৈনন্দিন ব্যস্ততা আমাদেরকে সে সুযোগ দেয় না, কোচদের প্রশ্নের মাধ্যমে সেই ক্ল্যারিটিটা আসে। ফাহিমের সাথে সেশনগুলোর মাধ্যমে আমার পাওয়া হচ্ছে নিজের লাইফ রিলেটেড যে ক্ল্যারিটিগুলো দরকার সেগুলো, তার পাশাপাশি যে একশনগুলো নিব নিচ্ছি করে নেয়া হচ্ছিল না সেগুলো নিতে পারা। আলহামদুলিল্লাহ এই সেশনগুলো একটা সিগনিফিক্যান্ট চেইঞ্জ এনে দিয়েছে ওভারঅল প্রোডাক্টিভিটিতে, ক্ল্যারিটিতে, কী করব কী করব না, প্রায়োরিটি সেটিংয়ে, ওভারঅল মেন্টাল এবং ফিজিক্যাল হেলথে, পার্সোনাল ডেভেলপমেন্টে। পার্সোনাল, প্রফেশনাল সব দিক থেকেই এটা অনেক বেশি ফ্রুটফুল হয়েছে এবং আমি তো একচুয়ালি ওকে অনেক জায়গায় রেফার করসি, তারা সবাইও সিমিলার ফিডব্যাক দিবে বলেই আমার মনে হয়!”
‘Working with Fahim has been nothing short of transformative. As the CEO of weDevs and Kahf, I’ve always navigated high-pressure decisions, complex strategies, and ambitious goals. But it was Fahim who helped me see beyond the numbers — to realign my mindset, redefine success, and reconnect deeply with my purpose.
His coaching didn’t just impact my leadership; it reshaped my life. Fahim’s unique blend of deep Islamic knowledge and practical wisdom helped me grow spiritually and emotionally. He reminded me that true success starts with clarity of the soul and closeness to Allah. Through our sessions, I’ve become a more grounded leader, a more mindful human being, and — most importantly — a servant striving for a greater cause.
If you’re seeking clarity, purpose, and a life driven by values — Fahim is the guide you need. He didn’t just change how I think. He changed how I live.’
“প্রথমবার ফাহিম ভাইয়ের সাথে কথা বলার পর আমার খুব চমৎকার লাগল কারণ একটা অর্গানাইজেশন চালাতে গেলে অনেক রকম জিনিসপত্র ফেইস করতে হয়, নিজের ইমোশন ম্যানেজ করা, অ্যাংজাইটি আর স্ট্রেস ম্যানেজ করা, এসব নিয়ে আমি নিজে কিছু পড়াশোনা করতাম কিন্তু ফাহিম ভাইয়ের সাথে কথা বলে আমার চিন্তাগুলোর কিছু ভ্যালিডেশন পেলাম সাথে প্র্যাক্টিকাল অনেক উদাহরণের মাধ্যমে আরো গভীরভাবে সব বুঝতে শুরু করলাম। এরপর প্রায় এগারো কিংবা বারোটা সেশন হয় আমাদের এবং প্রতিটা সেশনের পর ই আমি খুব-ই খুব-ই চমৎকার একটা অনুভূতি পাইসি সাথে অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পারসি যদিও সব কিছু আমল করতে পারি নাই কিন্তু করতে পারলে খুব ভাল রেজাল্ট আসে।
ইউজুয়ালি কোচিং মেন্টরিং এ যা ঘটে তা হচ্ছে এটা অনেক বেশি থিওরেটিকাল হয়ে যায়, অনেক বেশি প্রসেস ওরিয়েন্টেড হয়ে যায় যে এটা করো সেটা করো। কিন্তু একদম ফোকাসড ওয়েতে আমি যেভাবে ভাবি, আমার কী দরকার তা জেনে পারসোনালাইজড ওয়েতে আমার জন্য উনি একটা প্ল্যান করার চেষ্টা করসেন যেটা খুব চমৎকার একটা বিষয় ছিল। অনেকে আমরা আসলে বুঝিই না আমরা কোন প্রব্লেমের মধ্যে আছি আর তা থেকে বের হবো কীভাবে, ক্রিটিকাল সিচুয়েশন কীভাবে হ্যান্ডেল করব, ইমোশনাল ট্রিগার গুলা কীভাবে ম্যানেজ করব, কারো সাথে কমপ্লেক্স কমিউনিকেশনগুলো কীভাবে করব, কনফ্লিক্ট কীভাবে হ্যান্ডেল করব, পার্সোনাল আর প্রফেশনাল লাইফ দুই জায়গাতেই এই ইস্যুগুলো থাকে এবং এখানে ফাহিম ভাইয়ের এপ্রোচটা কীরকম তা আসলে এই ছোট্ট পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব না কিন্তু এটা সুপার হেল্পফুল। উনি যেভাবে সাইকোলজি এবং প্র্যাক্টিকাল এক্সাম্পল দিয়ে জিনিসগুলো বোঝান সেটা রিয়েলি রিয়েলি এমেইজিং একটা জিনিস।”
“ফাহিম ভাইয়ের প্রচণ্ড ইনোভেটিভ কোয়েশ্চেনগুলো আমার মনের মধ্য থেকে আমার সত্যিকারের চাওয়াগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করেছে। আমার প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য আমি খুঁজে পেয়েছি, বুঝতে পেরেছি আমি ঠিক কী করতে চাই। আমার জীবনের পারপাজ খুঁজে পেয়েছি, আমার প্রফেশনাল এবং পার্সোনাল গ্রোথের জায়গাগুলো নিয়ে আমি এখন অনেকখানি ক্লিয়ার আগের চাইতে।
আমি কীভাবে টার্গেট এচিভ করব, প্ল্যান সেট করব, কোন পদ্ধতিতে আগাবো এগুলো নিয়ে যেমন শিখছি তেমনি এমপ্লয়িদের সাথে কোন স্ট্রাটেজি গুলো কাজ করবে কোনগুলো করবে না এগুলো ওনার সাথে আলোচনার মধ্য দিয়েই আমি সিদ্ধান্ত নিই। আমার অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়তো আমি নিলে ভুল হতে পারতো কিন্তু ফাহিম ভাইয়ের সাথে কথা বলার পর নেয়ার কারণে ঠিকঠাক মত এগুতে পেরেছি।
ফাহিম ভাইয়ের সাথে কথা বললে পড়াশুনার প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ তৈরি হয়। ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং, সেলস, স্ট্রাটেজি, এমপ্লয়ি সাইকোলজি এই বিষয়গুলোতে ওনার এত ডীপ নলেজ যে আলোচনাগুলো থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি এবং এই ব্যাপারগুলো নিয়ে স্ট্রং প্ল্যানিং করতে পেরেছি। হেলথ, মেন্টাল ফিটনেসেও অনেক কাজে এসেছে। আমি যেসব বিষয়ে খুব ইরিটেটেড হতাম সেসব বিষয়ে এখন নিজে রেস্পন্সিবিলিটি নিতে শিখেছি। ভাবতে শিখেছি যে কোম্পানি আমার, রেস্পন্সিবিলিট আমার। এমপ্লয়িদের ভুল হলে আগে অনেক রেগে যেতাম, এখন ভাবতে শিখেছি যে এটা আমার ই রেস্পন্সিবিলিটি।
প্রায় এক বছর ধরে আমি ফাহিম ভাইয়ের সাথে কোচিং কন্টিনিউ করছি, এই প্রসেস শুরুর পর থেকে আমি যে কত ছোট ছোট সিগনিফিক্যান্ট চেইঞ্জ আনতে পেরেছি লাইফে তা অবিশ্বাস্য, লিখতে গিয়ে বুঝতে পারছি এখন। প্রত্যেকটা জিনিস দেখি আর মনে হয় ফাহিম ভাইয়ের ঐদিনের ঐ কোয়েশ্চেনটার জন্য আজকে এই ইম্প্রুভমেন্টটা হয়েছে!!”
“Working with Fahim Bhai has truly been a transformative experience for me. One of my biggest personal challenges was overthinking — once a thought entered my mind, it would stay there, constantly looping without resolution. But after just two sessions with him, Alhamdulillah, I began to understand how thoughts work, how to filter them, and which ones to keep or discard. That shift in my mindset was life-changing.
What sets Fahim Bhai apart is the depth of his knowledge and the wisdom he shares. Whenever I bring up a personal issue, his solutions are never surface-level. Drawing from his vast reading habit, he often shares insights from the Qur’an, the life of our beloved Prophet Muhammad (SAW), the Sahaba, or the great scholars of the past. Sometimes, he even references modern thinkers and successful individuals — always with a deep understanding of context and relevance.
One of the qualities I admire most is that he is not just a motivational speaker. He doesn’t preach ideas that he hasn’t tried himself. Before advising others, he genuinely attempts to implement those practices in his own life. That authenticity makes his guidance trustworthy and deeply impactful.
Whether it’s setting meaningful life goals, establishing a personal routine, or even managing finances — Fahim Bhai provides structured, practical, and spiritually grounded guidance. I have felt more motivated, inspired, and clear in my journey than ever before.”
“ফাহিমের কাছে সেশন নেয়ার আগে আমার এক্সপেকটেশন অন্য ধরনের ছিল, ভেবেছিলাম ফাহিম আমাকে প্রোডাক্টিভ হওয়ার জন্য অনেক অনেক টিপস দিবে, সেগুলো প্রয়োগ করে আমি সুপার প্রোডাক্টিভ হয়ে যাবো। কিন্তু বাস্তবতা সেরকম না।
ফাহিম কাজ শুরু করেছিল “কেন” থেকে। যেটা করতে চাচ্ছি, সেটা আসলে কেন চাচ্ছি। বর্তমান সময়ে নিজের চাওয়া আর আশে পাশের থেকে ইনফ্লুয়েন্সড হওয়া, এ দুটো আলাদা করা অনেক কঠিন। একটা দীর্ঘ সময় নিয়ে আমরা কাজ করেছিলাম “পারপাজ” নিয়েই। এটাই বেশির ভাগ কনফিউশন দূর করে দেয়। কাজ করতে করতে অনেক সময় অনেক ডাউন ফেইজ ফেইস করতে হয়, তখন স্ট্রংলি ডিফাইন্ড পারপাজ রিমাইন্ড করলে ইজিলি কাম ব্যাক করা যায়।
কাজের প্রায়োরিটি করার জায়গাতে অনেক হেল্প পেয়েছি। রকমারির শুরু থেকে কাজ করার কারণে, কোম্পানি বড় হওয়ার সাথে সাথে নিজের রেস্পন্সিবিলিটি শিফট করা নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ ফেইস করছিলাম। এখানে অনেক ইম্প্রুভমেন্ট হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
কীভাবে কী করবো, সেই প্রসেস ডিজাইনেও ফাহিম অনেক হেল্প করেছে। ফাহিম যেটা করেছে, রাইট প্রশ্নটা করেছে, সেখান থেকে উত্তর চলে আসছে। ফাহিমের হেল্প নিয়ে অনেক ভাল হ্যাবিটও ফর্ম করতে পেরেছি, আলাহামদুলিল্লাহ।
রিলিজিয়াস বিলিফের জায়গাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা এলাইন্ড হওয়ার কারণে প্রসেস গুলো আমার জন্য প্রোপার হয়েছে।
ফাহিমের সেশন নেয়ার আগে পরের সাথে যদি তুলনা করি, প্রোডাক্টিভিটি অবশ্যই বেড়েছে, কেন এর জায়গা থেকে শুরু করার কারণে এটা আরও বেশি স্যাটিস্ফ্যাক্টরি। আমার রেস্পন্সিবিলিটি নিয়ে আমি অনেক ক্লিয়ার। কাজের ক্ষেত্রে নিজেকে আরও শান্ত রাখতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ।
ছোট ভাই এবং কোচ হিসাবে ফাহিম আমার খুব পছন্দের একজন মানুষ। দোয়া করি আল্লাহ যেন ওর সকল মনে ইচ্ছা পূরণ করেন।”
“ফাহিম এর সাথে কাজ করার পর থেকে আমার অনেক কিছুতে ক্ল্যারিটি এসেছে, অনেক সংশয় দূর হয়েছে।
আমি খুবই অগোছালো এবং ছন্নছাড়া টাইপের, এখন অন্তত আমি নিজেকে একটু হলেও চিনতে পেরেছি। আমার কাজ আগের থেকে ভাল হচ্ছে, গুছিয়ে করতে পারছি।
ব্যক্তি হিসাবে যেই সীমাবদ্ধতা ছিল সেগুলো এখনো আছে কিন্তু এখন আমি জানি আমার সমস্যা কোথায় এবং কী কী ঠিক করতে হবে।
প্রফেশনাল লাইফে এখনও সিগনিফেকেন্ট কিছু হয় নাই কারণ আমার সীমাবদ্ধতা। আমি এখন অন্তত জানি আমাকে কী কী করতে হবে।
ফাহিম এর সাথে সরাসরি যদিও এখনও দেখা হয় নি কিন্তু কথা বললে মনে হয় ওর কাছে সব শেয়ার করা যায়। আমি খুব রিজার্ভ থাকি এবং ব্যক্তিগত কিছু কখনই কারো কাছে শেয়ার করি নি কোনদিন, ইভেন আমার বউ এর কাছেও না।
আমার মনে হয় এইসব শেয়ার করলে আমি ভালনারেবল হয়ে যাব। ফাহিম একমাত্র ব্যক্তি যার কাছে প্রথম অনেক কিছু শেয়ার করেছি।
আমি যখনই কোন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি ফাহিম এর কথা মনে হয় আর ওর সাথে কথা বলার পরে ক্ল্যারিটি চলে আসে।”
“পরিবর্তনের কিছু ইচ্ছা তো আমার অবশ্যই ছিল কিন্তু মনে হতো আমি যেন কিছু একটা মিস করছি। কিন্তু কী সেটা, তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এই না-পারার ভেতর থেকেই আমার আত্ম-অন্বেষণ শুরু হয়। আর এই যাত্রায় প্রজ্ঞাবান সহযাত্রী ছিলেন ফাহিম আবদুল্লাহ।
তিনি আমার ওপর কিছু চাপিয়ে দেননি, কোনো গন্তব্যও ঠিক করে দেননি। বরং এমন সময়, এমন প্রশ্ন করেছেন — যা আমার ভাবনার গভীরে আলো ফেলেছে। সেসব প্রশ্ন আমাকে নিজের ভেতরে তাকাতে শিখিয়েছে, নিজের সম্ভাবনা, সীমাবদ্ধতা, ইচ্ছা আর উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে।
এই জার্নিটা শুধু কোচিং ছিল না, ছিল এক গভীর আত্ম-অন্বেষণ।”
‘ফাহিমের সাথে কাজ করার আগে আমার কোন আইডিয়া ছিল না বিজনেস কোচিং ব্যাপারটা ঠিক কী। আমার ধারণা ছিল বিজনেস রিলেটেড ব্যাপারগুলোতে ডোমেইন এক্সপার্টাইজ আছে এমন সিনিয়র বা সাকসেসফুল কেউ কনসালটেন্সি দিবে এটাই বোধহয় বিজনেস কোচিং। কিন্তু ফাহিমের সাথে কাজ শুরুর পর আমার ধারণা বদলাতে শুরু করে।
ফাহিম আমার চাইতে জুনিয়র, ও আমার ফিল্ডে বিজনেস করে না সো আমার ডোমেইনে ওর এক্সপার্টাইজ আছে তাও না, কিন্তু তবু ও আমার বিজনেসে সিগনিফিক্যান্ট ইমপ্যাক্ট ক্রিয়েট করসে ফলে বিজনেস কোচিং নিয়ে আমার আইডিয়া টোটালি চেইঞ্জ হয়ে গেসে এবং মনে হইসে এইটা প্রসেসের ভেতর দিয়ে তো সবারই যাওয়া উচিৎ!
খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফাহিম আমার বিজনেসে সিগনিফিক্যান্ট সব হেল্প করসে, এর মধ্যে সবচেয়ে সিগনিফিক্যান্ট চেইঞ্জটা লাইফ লং ইমপ্যাক্ট রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। ব্যাপারটা কেমন বলি। বিফোর ফাহিম আমরা বিজনেসে এমন একটা স্টেইজে পৌঁছে গেছিলাম যে টাকা আর আমাদের জন্য মোটিভেটিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছিল না ফলে গ্রোথে পটেনশিয়াল থাকলে মোটিভেশন ছিল না এনাফ।
ঠিক এই সময়টাতে এসেই ফাহিম ওর ইন ডেপথ কোয়েশ্চেন দিয়ে গাইড করে করে, কোচিং এর প্রসেসের মধ্য দিয়ে নিয়ে গিয়ে আমাকে দিয়েই কাজ করিয়ে, ব্রেইন স্টর্মিং করিয়ে ধীরে ধীরে আমাদের অর্গানাইজেশনের কোর পারপাজের জায়গাটায় ক্ল্যারিটি নিয়ে আসে। কয়েক বছর কেটে গেছে কিন্তু সেই সেশনগুলোর ইমপ্যাক্ট এখনো অনুভব করছি কারণ এরপর থেকে আমরা একটা পারপাজ ড্রিভেন কোম্পানিতে পরিণত হই, কাজের স্পিড, ডিসিশন মেকিং সব কিছুই ডিফরেন্ট হয়ে গেছে। এই পারপাজ খুঁজে পাওয়ার জার্নিতে ফাহিমের কন্ট্রিবিউশন আমার সব সময় মনে থাকবে, কৃতজ্ঞতাও থাকবে।
বিজনেস কোচিং এর বাইরে যদি বলি, ফাহিম ইজ আ গ্রেট গাই, ওর সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিলে বোরড ফিল হয় না, যথেষ্ট পরিমাণ নলেজ রাখে সব ব্যাপারে, এবং ও জানে রাইট প্রশ্নগুলো কীভাবে করতে হয় যেটা খুব ই ইম্পর্ট্যান্ট! ও কখনওই হ্যান্ডহোল্ডিং করবে না, মেথড বলে দিবে না বা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে না, সেটা একজন কোচের কাজ ও না, বরং রাইট কোয়েশ্চেন করে করে গাইড করার যে কাজ সেটা ফাহিম বিউটিফুলি করসে। আমি একচুয়ালি হাইলি রিকমেন্ড করে এটাই বলব যে আপনি যেই ফিল্ডেই থাকুন না কেন, ফাহিমের সাথে এই কোচিং প্রসেস ট্রাই করলে আপনার পার্স্পেক্টিভ চেইঞ্জ হয়ে যেতে বাধ্য!’
শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন অর্থনীতি এবং মনোবিজ্ঞান নিয়ে।
কর্মজীবনে অন্যরকম এডটেক লিমিটেডের হেড অফ গ্রোথ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, অন্টরপ্রেনারশিপ ডেভেলেপমেন্ট নিয়ে কাজ করেছেন একটি স্টার্টআপ ইনকিউবেটরের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে, গ্রোথ কনসাল্টেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন বিভিন্ন অর্গানাইজেশনের সাথে।
দেশী-বিদেশী হরেক রকম কোর্স, প্রোগ্রাম ও রিসোর্স থেকে লাইফ এবং বিজনেসের গ্রোথ স্ট্রাটেজি নিয়ে শিখেছেন, শিখছেন প্রতিনিয়ত।
বর্তমানে WiseGrowth এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, যেটি লাইফ এবং বিজনেস গ্রোথ পার্টনার হিসেবে কাজ করছে বিভিন্ন কোম্পানির ফাউন্ডার এবং সি লেভেল এক্সিকিউটিভদের সাথে। মূল উদ্দেশ্য অর্থপূর্ণ সফলতার পথে এগুতে প্রয়োজনীয় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা, সাথে শারিরীক, মানসিক এবং আত্মিক সুস্থতা ও উন্নতি!
অজস্র মানুষ অনন্য জীবনের স্বাদ পাবে, অর্থপূর্ণ সফলতা আর সুখের সূত্র জানবে এবং কাজে লাগিয়ে অনন্য মানুষ হয়ে উঠতে পারবে সেই স্বপ্ন নিয়েই শুরু করেছেন OnonnoLife। একই লক্ষ্যে তরুণদের নিয়ে কাজ, কিন্তু তারুণ্যের চ্যালেঞ্জ, চাহিদা সব কিছুই আলাদা মনোযোগের দাবি রাখে তাই OnonnoYouth এর পথচলা।
শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন অর্থনীতি এবং মনোবিজ্ঞান নিয়ে। বর্তমানে WiseGrowth এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, যেটি লাইফ এবং বিজনেস গ্রোথ পার্টনার হিসেবে কাজ করছে বিভিন্ন কোম্পানির ফাউন্ডার এবং সি লেভেল এক্সিকিউটিভদের সাথে। মূল উদ্দেশ্য অর্থপূর্ণ সফলতার পথে এগুতে প্রয়োজনীয় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা, সাথে শারিরীক, মানসিক এবং আত্মিক সুস্থতা ও উন্নতি!